আভিধানিক অর্থে তাগুত বলতে প্রত্যেক সীমালংঘনকারী ব্যক্তিকেই বুঝানো হয়। আল কোরআন ‘তাগুত’ কে নিজস্ব পরিভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে। কোরআনের পরিভাষায় ‘তাগুত’ পূর্ব অর্থসহ সেই বান্দা বা সেই শক্তিকে বলা হয় যা বন্দেগী বা দাসত্বের সীমালংঘন করে নিজেই প্রভু ও মনিব হওয়ার ভান করে, আল্লাহর বান্দাহদেরকে নিজের বন্দেগী করতে বাধ্য করে। একজন বান্দাহর আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার তিনটি স্তর রয়েছে।
১ম স্তর : মানুষ নীতিগতভাবে আল্লাহর আনুগত্য ও হুকুম পালনকেই সঠিক বলে বিশ্বাস করবে ও মানবে। কিন্তু কার্যত তাঁর আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করবে। এই স্তরে অবস্থানের নাম ফিসক।
২য় স্তর : মানুষ নীতিগতভাবেই আল্লাহর আনুগত্য লংঘন করে স্বেচ্ছাধীন হবে অথবা আল্লাহ ছাড়া অপর কারো বন্দেগী করবে। একে বলা হয় কুফর।
৩য় স্তর : এ পর্যায়ে মানুষ প্রকৃত মালিক আল্লাহর প্রতি বিদ্রোহী হয়ে তাঁর রাজ্যে ও তারই প্রজা সাধারণের উপর নিজের আইন ও হুকুমত চালাতে শুরু করে।
যে ব্যক্তি এই চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত হয় তাকেই বলা হয় তাগুত।
সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকার তাগুত
সমগ্র কুরআনে ৫ প্রকার তাগুতের সন্ধান পাওয়া যায়।
১. নফস ও হাওয়া : نفس অর্থাৎ নাফস অর্থ প্রবৃত্তি আর হাওয়া অর্থ কু-প্রবৃত্তি। দেহের যাবতীয় দাবীকে একসাথে নাফস বলা হয়। যে দাবী মন্দ তাকেই হাওয়া বলে। দেহের ভাল ও মন্দের কোন ধারণা নেই। এ ধারণা আছে বিবেকের। রুহের সিদ্ধান্তই বিবেক। নাফস বা দেহের দাবি মন্দ বলেই ধরে নিতে হবে। বিবেক যাচাই করে .. দেয় কোন দাবিটা ভালো বা মন্দ। সূরা ইউসুফের ৫৩ নং আয়াতে বলা হয়েছেÑ
إِنَّ النَّفْسَ لَأَمَّارَةٌ بِالسُّوءِ
‘নিশ্চয়ই নাফস মন্দেরই হুকুম দেয়।‘ আল্লাহর নাফরমানীর জন্য তাগিদ দেয় বলেই নাফস তাগুত।
যদি কেউ সত্যিই আল্লাহর অনুগত বান্দাহ হতে চায়, তাহলে তাকে অবশ্যই নাফসের কাফির হতে হবে। কেউ যদি উন্নত চরিত্রের অধিকারী হতে চায় তাহলে প্রথমেই তাকে দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিতে হবে, আমি নফসের কথা মেনে চলব না; অর্থাৎ আমি বিবেকের বিরুদ্ধে চলবো না।
এ সিদ্ধান্ত না মেনে নিলে সে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সত্তে¡ও নাফসের গোলামই থেকে যাবে। সে আল্লাহকে ইলাহ বা হুকুমকর্তা স্বীকার করা সত্তে¡ও নফস বা হাওয়াকে ইলাহ হিসেবেই মেনে চলবে।
সূরা জাছিয়ার ২৩ নং আয়াতে আছে-
أَفَرَأَيْتَ مَنِ اتَّخَذَ إِلَٰهَهُ هَوَاهُ
‘তুমি কি তাকে দেখেছ, যে তার কুপ্রবৃত্তিকে ইলাহ হিসেবে গ্রহণ করেছে?‘
কুরআনের অনুবাদে অনেকেই তাগুত অর্থ লিখেছেন শয়তান। শয়তান আল্লাহর নাফরমানী করার জন্য উসকে দেয় বলে শয়তান অবশ্যই তাগুত। কিন্তু তাগুত অর্থ শয়তান নয়। শয়তান মানুষের নাফসকে বিভ্রান্ত করেই নাফরমানীর জন্য ওয়াসওয়াসা দেয়। তাই প্রথম নম্বর তাগুতের মধ্যেই শয়তান অন্তর্ভুক্ত।
২ শরীয়াত বিরোধী প্রচলিত কু-প্রথা ও সামাজিক কু-সংস্কার ও তাগুত
সূরা বাকারায় আল্লাহ বলেন-‘যখন তাদেরকে বলা হলো যে, আল্লাহ যা (ওহী যোগে) নাযিল করেছেন তা মেনে চল, তখন তারা বলল, আমাদের বাপ-দাদাকে যা মেনে চলতে দেখেছি আমরা তাই মেনে চলব।‘ (সূরা বাকারা : ১৭০)
সমাজে বহু কুপ্রথা প্রচলিত যা শরীয়াত বিরোধী। ধর্মের নামেও বহু শরীয়াত বিরোধী প্রথা চালু আছে। বিয়ে- শাদিতে তো কুপ্রথার ব্যাপক প্রচলন আছে। কুপ্রথাগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। এসবকে অমান্য করতে গেলে বিরাট বাধার সম্মুখীন হতে হয়। কুপ্রথাগুলো আইনের চেয়েও বেশি শক্তিশালী। আইন চালু করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার (খধি ঊহভড়ৎপবরহম অমবহপু) প্রয়োজন হয়। কুপ্রথা নিজের শক্তি বলেই চালু থাকে। আইন করে ও তা দূর করা সহজ নয়।
এ কারণেই সামাজিক কুসংস্কারগুলো ও তাগুত। এ সবকে মানতে অস্বীকার না করলে ঈমানের দাবি পূরণ করা যায় না। এগুলো আল্লাহর হুকুমের বিরোধী। এ সবকে মেনে চললে আল্লাহকে অমান্য করা হয়।
৩. শাসন শক্তি : কারও উপর কর্তৃত্ব করার সুযোগ যার আছে সেই হলো শাসন শক্তি। একটি দেশের সরকার হলো সবচেয়ে শক্তিশালী শাসন শক্তি। শাসন শক্তি বললে শুধু গভর্নমেন্টই বোঝায় না। স্বামী-স্ত্রীর সংসারে স্বামীও শাসন শক্তি। পরিবারের পিতা শাসন শক্তি। কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধানও শাসন শক্তি। কুরআনে ফিরাউন ও নমরুদকে শাসন শক্তি হিসেবে তাগুত বলা হয়েছে।
আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) কে ফিরাউনের নিকট যাওয়ার আদেশ যে ভাষায় দিলেন, সেখানেও ফিরাউনকে সীমালংঘনকারী বলেই উল্লেখ করেছেন :
‘হে মুসা! ফিরাউনের নিকট যাও, নিশ্চয়ই সে সীমালংঘন করেছে।‘ (সূরা ত্বহা : ২৪)
৪. রিযিক বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখানোর শক্তি
এ প্রকার তাগুতটি শাসন শক্তিরই অন্তর্ভুক্ত। চাকরি থেকে সরিয়ে দিয়ে রিযিক বন্ধ করার ক্ষমতা যাদের আছে তারা শাসন শক্তি বটে। তবু এটা পৃথকভাবে গণ্য করার যোগ্য তাগুত। শাসন শক্তি প্রয়োগ করে অন্যায়ভাবে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দিতে পারে ও বিভিন্নভাবে ক্ষতি করতে পারে কিন্তু চাকরি থেকে বরখাস্ত শাস্তিটি চরম জুলুম বলেই রিযিক বন্ধ করার ভয় দেখানোর শক্তিকে শাসন শক্তি থেকে আলাদা ভাবে গণ্য করা হলো। এ শক্তি প্রয়োগ করে অধীনস্থদেরকে আল্লাহর নাফরমানী করতে বাধ্য করা যায় বলেই এটাও তাগুত।
৫. অন্ধভাবে মেনে চলার দাবিদার শক্তি তাগুত
সমাজে এমন কতক লোক আছে যারা তাদেরকে তাগুত ভাবে মেনে চলার জন্য নৈতিক প্রভাব প্রয়োগ করতে সক্ষম তাদের দাবি হলো, বিনা যুক্তিতে তাদের কথা মেনে চলতে হবে।বিনা প্রশ্নে তাদের আনুগত্য করতে হবে। বিনা বাক্য ব্যয়ে তাদের হুকুম পালনের অধিকার তারা দাবি করে।
অথচ আল্লাহ ও রাসূল (সা.) ছাড়া এ দাবি করার আর কারো অধিকার নেই। যেহেতু আল্লাহ নির্ভুল এবং রাসূল (সা.) আল্লাহর ওহী দ্বারা পরিচালিত বলে তিনিও নির্ভুল, সেহেতু এ দুসত্তাকে বিনা দ্বিধায় শর্তহীনভাবে মেনে চলতে হবে। এছাড়া আর কারো এ জাতীয় আনুগত্যের দাবিদার হওয়ার অধিকার নেই। তাই যারা এ দাবি করে তারাও তাগুত।
সূরা তওবার ৩১ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন-
اتَّخَذُوا أَحْبَارَهُمْ وَرُهْبَانَهُمْ أَرْبَابًا مِّن دُونِ اللَّهِ
‘তারা তাদের ওলামা ও পীরদেরকে আল্লাহর বদলে তাদের রব হিসেবে গ্রহণ করেছে।‘
মূর্তি, কবর, স্মৃতিস্তম্ভ বা কাল্পনিক কোন শক্তি, আলেম, মুজাহিদ, পন্ডিত, বুুদ্ধিজীবী, গণক, ভবিষ্যত বক্তা, নেতা-নেত্রী যাদেরকে কোরআন ও সুন্নাহর দেওয়া সীমানার বাইরে অনুসরণ করা হয়, যাদের কথা ও কাজকে কোরআন ও সুন্নাহর দলিলের মত মনে করা হয় তারাও তাগুত।
আল কুরআনে তাগুত সম্পর্কিত বক্তব্য
আল কুরআনে তাগুত সম্পর্কিত আলোচনা হয়েছে মোট ৮টি স্থানে।
১. দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর জবরদস্তি নেই। প্রকৃত শুদ্ধ ও নির্ভুল কথা সুস্পষ্ট এবং ভুল চিন্তাধারা হতে সম্পূর্ণ পৃথক হয়ে গেছে। এখন যে কেউ তাগুতকে অস্বীকার করে আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে সে এমন এক শক্তিশালী অবলম্বন ধরেছে, যা কখনই ছিঁড়ে যাবার নয় এবং আল্লাহ (যার আশ্রয় সে গ্রহণ করেছে) সবকিছু শ্রবণ করেন এবং সব কিছু জানেন। (সূরা বাকারা : ২৫৬)
২. যারা ঈমান আনে, তাদের সাহায্যকারী ও পৃষ্ঠপোষক হচ্ছেন আল্লাহ: তিনি তাঁদেরকে অন্ধকার হতে আলোকের দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফরী অবলম্বন করে, তাদের সাহায্যকারী ও পৃষ্ঠপোষক তাগুত। উহা তাদেরকে আলো হতে অন্ধকারের দিকে টেনে নিয়ে যায়। এরা হবে জাহান্নামী, সেখানে তারা চিরদিন থাকবে।‘ (সূরা বাকারা : ২৫৭)
৩. হে নবী, তুমি কি সেইসব লোকদের দেখ নাই, যারা দাবী করে যে, আমরা ঈমান এনেছি সেই কিতাবের প্রতি যা তোমার প্রতি নাযিল হয়েছে এবং যা তোমার পূর্বে নাযিল হয়েছিল, কিন্তু তারা নিজেদের যাবতীয় ব্যাপারে ফয়সালার জন্য তাগুতের নিকট পৌঁছতে চায়। অথচ তাগুতকে সম্পূর্ণ অস্বীকার ও অমান্য করতে তাদেরকে আদেশ দেয়া হয়েছিল। মূলত শয়তান তাদেরকে পথভ্রষ্ট করে সত্য সরল পথ হতে বহু দূরে নিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে যখন বলা হয় যে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন সেই দিকে আস এবং রাসূলের নীতি গ্রহণ কর, তখন এই মুনাফিকদের তুমি দেখতে পাবে যে তারা তোমার নিকট আসতে ইতস্ততঃ করছে এবং পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে। (সূরা নিসা : ৬০)
৪. যারা ঈমানের পথ গ্রহণ করে তারা আল্লাহর পথে লড়াই করে আর যারা কুফরী পথ অবলম্বন করে তারা লড়াই করে তাগুতের পথে।‘ (সূরা নিসা : ৭৬)
৫. তুমি কি সেই লোকদের দেখ নাই, যাদেরকে কিতাবের জ্ঞানের একাংশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের অবস্থা এই যে, তারা জিব্ত ও তাগুতকে মেনে চলছে এবং কাফেরদের সম্পর্কে বলে যে, ঈমানদার লোক অপেক্ষা এরাই তো সঠিক পথে চলছে। বস্তুত: এইসব লোকের উপরই আল্লাহ তাআলা লা’নত করেছেন, তারা কোন সাহায্যকারী পাবে না। (সূরা নিসা: ৫১)
৬. যারা তাগুতের দাসত্ব করা থেকে দূরে থাকে এবং আল্লাহর অভিমুখী হয় তাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। (সূরা যুমার : ১৭)
৭. আমি প্রত্যেক উম্মতের মধ্যেই রাসূল প্রেরণ করেছি এই নির্দেশ দেয়ার জন্য যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর এবং তাগুত থেকে দূরে থাক। (সূরা নাহল : ৩৬)
৮. বলুন, আমি তোমাদেরকে বলি, কাদের জন্য মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধানি¦ত হয়েছেন, যাদের কতককে বানরে ও শূকরে রূপান্তরিত করেছেন এবং যারা তাগুতের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকে অনেক দূরে। (সূরা মায়েদা : ৬০)
আল কুরআন তাগুত সম্পর্কিত আয়াতসমূহ থেকে যে মূলনীতি ঘোষণা করেছে
১.ঈমান আনার অপরিহার্য শর্ত তাগুতকে অস্বীকার করা।
২.কুফরী পথের সাহায্যকারী ও পৃষ্ঠপোষক তাগুত।
৩.তাগুত আল্লাহর বান্দাদেরকে আলো থেকে অন্ধকারের পথে নিয়ে যায়।
৪.তাগুতকে সম্পূর্ণ অস্বীকার ও অমান্য করার আদেশ দেওয়া হয়েছে তথাপি মানুষ বিচার ফয়সালার জন্য তাগুতের কাছে যেতে চায়।
৫.তাগুতের পথ অবলম্বনকারীরা আল্লাহর নাযিলকৃত পদ্ধতির এবং রাসূলের নীতির দিকে আহ্বান জানালে ইতস্ততঃ করে এবং পাশ কাটিয়ে চলে যায়।
৬.ঈমানদার লড়াই করে আল্লাহর পথে আর কাফের লড়াই করে তাগুতের পথে।
৭.তাগুত অবলম্বনকারীরা বলে তারা ঈমানদারদের থেকে অধিকতর সঠিক পথে রয়েছে।
৮.তাগুত অবলম্বনকারীদের প্রতি আল্লাহ লা’নত বর্ষণ করেছেন। তারা কোন সাহায্যকারী পাবে না।
৯.আল্লাহর দাসত্ব করা এবং তাগুত থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেওয়ার জন্যই আল্লাহ রাসূল প্রেরণ করেছেন।
তাগুতের অনিষ্টকারিতা
‘হে মানবজাতি! তোমাদের প্রতি আল্লাহর যে অনুগ্রহ রয়েছে, তোমরা তা স্মরণ করো। আল্লাহ ছাড়া এমন কোন স্রষ্টা আছেন কি যিনি আসমান-জমীন থেকে তোমাদেরকে রিযিক দেন? তিনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তবু তোমরা কোথায় ছুটে বেড়াচ্ছ?‘ (সূরা আল ফাতির : ৩)
মানব সমাজে তাগুতের অনিষ্টকারিতা ভয়াবহ। মহান সত্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মানুষকে সে সর্বোচ্চ যোগ্যতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, তাতে সে শুধু সর্বোচ্চ শক্তিমান আল্লাহরই আনুগত্য করতে পারে। তার চেয়ে কম শক্তিশালী কোন সত্তার তথা তাগুতের আনুগত্য মানুষের মর্যাদাকে বিনষ্ট করে। তাগুতের ফলে মানুষ বিকৃত জীবনব্যবস্থায় অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলশ্র‘তিতে পৃথিবী তার স্বাভাবিক সৌন্দর্যকে হারিয়ে ফেলবে।
তাগুত সর্বদাই আল্লাহর দাসত্ব থেকে ফিরিয়ে রেখে আল্লাহ বিরোধী শক্তির দাসত্ব করতে বাধ্য করে। আল্লাহর প্রতি ঈমান আনার জন্য তাগুতকে প্রত্যাখ্যান করা অপরিহার্য।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাগুতকে অস্বীকার করার জন্য সঠিক উপলব্ধি এবং দৃঢ়তা নিয়ে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ-এই কালেমার উপর পরিপূর্ণ ঈমান নিয়ে আল্লাহ তায়ালার সঠিক আনুগত্য করার তাওফীক দান করুন। আমীন।
Comments are closed.