রাসূল (সা)-এর সামাজিক ও মানবীয় চরিত্র

পরকালের জবাবদিহিতা

عَن اِبْنِ مَسْعُوْدٍ رَضِىَ اللهُ عَنْهُ عَنِ النَّبِىْ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لاَتَزُوْلُ قَدْ مَااِبْنِ ادَمَ حَتّى يَسْئَلُ عَنْ خَمْسٍ عَنْ عُمْرِ فِيْمَا اَفْنَاهُ ০ وَعَنْ شَبَابِهِ فِيْمَا اَبَدَاهُ ০ وَعَنْ مَالِهِ مِنْ ايْنَ اَلْتَسَبَه ০ وَفِيْمَا اَنْفَقَه ০ وَمَاعَمِلَ فِيْمَا عَلِمَ ط (وَتِرْمِزِىْ)
অনুবাদ:

 হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) নবীয়ে কারীম (সা) থেকে বর্ণনা করেন, নবীজী (সা) বলেন, পাঁচটি বিষয়ে জবাব না দেয়া পর্যন্ত কোন মানব সন্তানের পা উঠাতে দেয়া হবেনা।ক. জীবন কীভাবে শেষ করেছ? খ. যৌবন কিভাবে বিদায় করেছ? গ. ধন-সম্পদ কিভাবে উপার্জন করেছ? ঘ. কোন পথে উহা ব্যয় করেছ? এবং ঙ. অর্জিত জ্ঞানের কতটুকু আমল করেছ?

ঈমানের প্রকৃত স্বাদ গ্রহণের উপায়

অনুবাদ :

“হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মোত্তালিব (রা) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা) বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহতায়ালাকে রব, ইসলামকে জীবনবিধান ও মুহাম্মদ (সা)-কে রাসূল হিসেবে শুধু ঈমান আনেনি বরং মনে প্রাণে গ্রহণ করেছেন ও সন্তুষ্ট হয়েছেন, তিনি ঈমানের প্রকৃত স্বাদ পেয়েছেন।” (সহীহ বুখারী ও মুসলিম)

পটভূমি

বিদায় হজে আরাফাতের মাঠে নবীজি (সা) যে ঐতিহাসিক বক্তব্য রেখেছেন তার প্রতিটি শব্দ মানবতার জন্য একটি সোনালি দলিল। তাতে তিনি বলেন, “আমি তোমাদের জন্য রেখে যাচ্ছি দু’টি অমূল্য বস্তু। যতদিন তোমরা তা শক্ত করে ধারণ করবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না, গোমরাহিতে হারিয়ে যাবে না। একটি আল্লাহর কিতাব অপরটি সুন্নাতে রাসূল (সা)।” এ সুন্নাতে রাসূলের (সা) উৎস হচ্ছে হাদিসে নববীর মহা সরোবর। এ হাদিসের আলো ব্যতিরেকে কুরআনের হিদায়াত গ্রহণ সম্ভব নয়। উম্মাহর রাহবার যাঁরা তাদেরকে কুরআনুল কারিম ও হাদিসে রাসূল (সা)-কে সমান গুরুত্বের সাথে অধ্যয়ন করতে হবে।