প্রয়োজনীয় দোয়া-২

খাওয়ার পূর্বের দু

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন : আল্লাহ যাকে আহার করালেন সে যেন বলে :

اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَاَطْعِمْنَا خَيْرًا مِنْهُ –

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাদের এই খাদ্যে বরকত দাও এবং এর চেয়ে উত্তম খাবার খাওয়ার ব্যবস্থা করে দাও।

আর আল্লাহ যাকে দুধ পান করালেন সে যেনো বলে :

اَللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِيْهِ وَزِدْنَا مِنْهُ –

অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি আমাদের এই খাদ্যে বরকত দাও এবং এ খাদ্য আরো বেশি করে দাও। (তিরমিযি)

 

খাওয়ার পরের দু

اَللَّهُمَّ لِلَّهِ الَّذِىْ اَطْعَمَنِيْ هَذَا، وَرَزَقَنِيْهِ, مِنْ غَيْرِ حَوْلٍ مِنِّيْ وَلاَقُوَّةٍ –

অর্থ: সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর জন্য যিনি আমাকে এই পানাহার করালেন এবং এর সামর্থ প্রদান করলেন। যাতে ছিল না আমার পক্ষ থেকে কোন উপায়-উদ্যোগ, ছিল না কোন শক্তি সামর্থ্য। (আবু দাউদ, আহমদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিযি)

সুস্থতার জন্য দুআ

হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত। নবী করীম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিজের পরিবারের কোনো রোগীকে দেখতে গেলে তার ওপর ডান হাত বুলাতেন এবং বলতেন :

اَللَّهُمَّ رَبِّ النَّاسِ اَذْهِبِ الْبَاْسَ اِشْفِ اَنْتَ الشَّافِىْ لاَشِفَاءً اِلاَّ شِفَاؤُكَ شِفَاءً لاَيُغَادِرُ سَقَمًا – مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ

অর্থ: হে আল্লাহ! হে মানুষের প্রভু! রোগ দূর করুন, আরোগ্য দান করুন, আপনিই আরোগ্য দানকারী, আপনার আরোগ্য ব্যতীত আর কোন আরোগ্য কার্যকর নয়, এমন আরোগ্য যা কোনো রোগকে অবশিষ্ট রাখে না। (বুখারি ও মুসলিম)

নতুন কাপড় পরিধানের দু

اَللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ اَنْتَ كَسَوْتَنِيْهِ اَسْاَلُكَ مِنْ خَيْرِهِ وَخَيْرِ مَاصُنِعَ لَهُ، وَاَعُوْذُبِِكَ مِنْ شَرِّهُ وَشَرِّ مَاصُنِعَ لَهُ –

অর্থ : হে আল্লাহ! তোমারই জন্য সকল প্রশংসা। তুমিই এ কাপড় আমাকে পরিয়েছো। আমি তোমার কাছে এর মধ্যে নিহিত কল্যাণ ও এটি যে জন্য তৈরি করা হয়েছে সেসব কল্যাণ প্রার্থনা করি। আমি এর অনিষ্ট এবং এটি তৈরির অনিষ্ট থেকে তোমার আশ্রয় কামনা করি। (আবু দাউদ, তিরমিযি)

নতুন চাঁদ দেখে পড়ার দুআ

وَالسَّلاَمَةِ وَالاِسْلاَمِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضي، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللهُ

অর্থ: আল্লাহ মহান! আয় আল্লাহ! এ নতুন চাঁদকে আমাদের জন্য নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের চাঁদ হিসেবে উপস্থাপন করো। যা তুমি ভালোবাস ও যাতে তুমি সন্তুষ্ট এ মাসে আমাদেরকে তা করার তাওফীক দাও। (হে চাঁদ) আমাদের প্রতিপালক ও তোমার প্রতিপালক একই আল্লাহ। (তিরমিযি, দারেমী) 

তারাবীহ নামাযের প্রয়োজনীয় দোয়া : চার রাকআত পড়ার পর পড়তে হয়

سُبْحَانَ ذِى الْمُلْكِ وَلْمَلَكُوْتِ سُبْحَانَ ذِى الْعِزَّةِ وَالْعَظَمَةِ وَالْهَيْبَةِ وَالْقُدْرَةِ وَالْكِبْرِيَاءِ وَالْجَبَرُوْتِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْحَىِّ الَّذِىْ لاَيَنَامُ وَلاَيَمُوْتُ اَبَدًا سُبُّوْحٌ قُدُّوْسٌ رَبُّنَا وَرَبُّ الْمَلئِكَةِ وَالرُّوْحِ-

উচ্চারণ : সুবহানাজিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানাজিল ইযযাতি, ওয়াল আযমাতি, ওয়াল হায়বাতি, ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়ায়ি, ওয়াল যাবারুতি। সুবহানাল মালিকিল হাইয়ীল্লাজি-লা-ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু, আবাদান আবাদা, সুব্বুহুন, কুদ্দুসুন, রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালায়িকাতি ওয়াররুহ।

অর্থ: আমি তাঁরই পবিত্রতা বর্ণনা করছি, যিনি বাদশাহ ও ফিরিশতাদের কর্তা। আমি তাঁরই পবিত্রতা ঘোষণা করছি যিনি মানব সম্ভ্রমের কর্তা এবং মহিয়ান। ভয়দাতা, শক্তিশালী গৌরবান্বিত, বৃহত্তম। আমি সেই চির জীবন্ত বাদশাহর পবিত্রতা প্রচার করছি, যিনি বিশ্রাম গ্রহণ করেন না। এমন যিনি পুতঃপবিত্র, তিনিই আমাদের প্রতিপালক এবং ফেরেশতা ও আত্মাগুলোর পালনকর্তা।

তাহাজ্জুদ সালাতে উঠে দুআ

আবু দাউদে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহা থেকে বর্ণিত হয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন রাতে ঘুম থেকে জাগতেন, তখন বলতেন :

অর্থ: তুমি ছাড়া কোনো হুকুমকর্তা ও মুক্তিদাতা প্রভু নেই। সকল প্রকার ত্রুটি-বিচ্যুতি ও দূর্বলতা থেকে মুক্ত পবিত্র তুমি। আমি তোমারই প্রশংসা করি হে আল্লাহ! আমার অপরাধের জন্যে আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই। আমি তোমার অনুগ্রহ চাই। আয় আল্লাহ, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও। সঠিক পথ দেখাবার পর আমার অন্তরকে আর বিপথগামী করো না। তোমার অনুগ্রহ আমাকে দান করো। অবশ্যই তুমি অতিশয়
মহান দাতা।

প্রতিদিন প্রতিক্ষণ আল্লাহকে স্মরণ

رَبِّ زِدْنِىْ عِلْمًا

অর্থ : হে আমার রব! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও। (সূরা তাহা : ১১৪)

ইসতিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা করার সর্বশ্রেষ্ঠ দুআ)

اَسْتَغْفِرُاللَهَ الْعَظِيْمِ الَّذِىْ لَا اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَاَتُوْبُ اِلَيْهِ ”

অর্থ : (আমি মহান আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যে চিরঞ্জীব চিরস্থায়ী সত্তা ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই এবং আমি তাঁরই নিকট প্রত্যাবর্তন করছি।

দুনিয়া আখেরাতের কল্যাণের জন্য দুআ

رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ”

অর্থ : হে আমাদের প্রভু! আমাদিগকে ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ (দান কর) এবং আমাদিগকে দোযখের শাস্তি থেকে রক্ষা কর। (সূরা বাকারাহ : ২০১)

হেদায়েত লাভের দুআ

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى ”

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট হেদায়েত, পরহেযগারিতা, ক্ষমা ও অমুখাপেক্ষিতা প্রার্থনা করছি। (তিরমিযী ৩৪৮৯, ইবনে মাজাহ ৩৮৩২)

 

রব্বানা লা তুযিগ্‌ ক্বুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়াহাব্‌ লানা মিল্লাদুংকা রাহ্‌মাতান ইন্নাকা আংতাল ওয়াহ্‌হাব।

(সূরা আলে ইমরান ঃ ৮)

 

“প্রভু হে, একবার যখন দয়া করে হেদায়াত দান করেছে। অতএব আর কখনও আমাদের দিলকে বাঁকা পথে যেতে দিও না তোমার পথ থেকে। আমাদের উপর রহমত বর্ষণ কর। তুমি অবশ্যই মহান দাতা।” (সূরা আলে ইমরান ঃ ৮)

ফাতিরস্‌সামা ওয়াতি ওয়াল আরদি আংতা ওয়ালিইয়্যি ফিদ্দুনয়া ওয়াল আখিরাতি। তাওয়াফ্‌ফানি মুসলিমাও ওয়াল্‌ হিক্বনি বিস্‌সালিহীন। (সূরা  ইউসুফ ঃ ১০১)

 

‘‘হে আসমান-জমীন তথা গোটা বিশ্বপ্রকৃতির স্রষ্টা, তুমি আমার ইহকালেরও প্রভু, পরকালেরও প্রভু। তুমি আমাকে নেক বান্দাদের মধ্যে আমাকে শামিল কর।” (সূরা ইউসুফ ঃ ১০১)

 

 কুরআন তিলাওয়াত শেষে দুআ

 

اللَّهُمَّ ارزُقْنِىْ التَّفَكُّرُ وَالتَّدَبُّرَ بِمَا يَتْلُوْهُ لِسَانِىْ مِنْ كِتَابِكَ ، وَالْفَهْمَ لَهُ، وَالْمَعرِفَةَ بِمَعَانِيْهِ ، وَالنَّظرَ فِىْ غَجَآئِبِهِ ، وَالْعَمَلَ بِذٰلِك مَا بَقِيْتُ اِنَّكَ علىٰ كلِّى شَيءٍ قديرٌ ”

অর্থ: হে আল্লাহ! আমার যবান তোমার কিতাবের যে অংশ পাঠ করে, তাতে চিন্তা ও গবেষণা করার তাওফীক দাও। আমাকে তা বোঝার ও হৃদয়ঙ্গম করার শক্তি দাও। তার রহস্যগুলো অবলোকন করার এবং আমার বাকি জীবন তার ওপর আমল করার তাওফীক দাও। নিশ্চয়ই তুমি সকল বস্তুর ওপর ক্ষমতাবান।

 

اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلَاهَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لَا يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لَا يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لَا تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لَا يُسْتَجَابُ لَهَا ”

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আশ্রয় চাচ্ছি তোমার কাছে অক্ষমতা ও আলস্য থেকে, কার্পণ্য ও বার্ধক্য থেকে এবং কবরের আযাব থেকে। হে আল্লাহ! আমার নফসকে তাকওয়া দান কর এবং তাকে পাক করে দাও। তুমি সবচাইতে পাকপবিত্রকারী। তুমি তার অভিভাবক ও মালিক। হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই অনুপকারী ইলম থেকে, আল্লাহর ভয়শূন্য হৃদয় থেকে, অতৃপ্ত নফস থেকে এবং এমন দু’আ থেকে যা কবুল হয় না।

 

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَالْعَمَلَ الَّذِي يُبَلِّغُنِي حُبَّكَ ، اللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَيَّ مِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ ”

অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে তোমার ভালবাসা প্রার্থনা করছি এবং সেই ব্যক্তির ভালবাসা প্রার্থনা করছি, যে তোমাকে ভালবাসে, আর এমন “আমল প্রার্থনা করছি, যা আমাকে তোমার ভালবাসার কাছে পৌঁছিয়ে দেবে। হে আল্লাহ! তোমার ভালবাসাকে আমার কাছে আমার প্রাণ, আমার পরিবার-পরিজন ও ঠাণ্ডা পানির চাইতে বেশি প্রিয় করো।

 

وعَنْ أَنَسٍ رَضي اللَّه عنْهُ قَالَ كانَ أَكْثَرُ دُعَاءِ النبيِّ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : اَللَّهُمَّ آتِنَا في الدُّنْيَا حَسَنَةً ، وفي الآخِرةِ حَسنَةً ، وَقِنَا عَذابَ النَّارِ গ্ধ مُتَّفَقٌ عليهِ ” زَادَ مُسْلِمُ فِىْ رِوَايَتِه قَالَ وَكَانَ أَنَسٌ إِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدَعْوَةٍ دَعَا بِهَا ، فَإِذَا أَرَادَ أَنْ يَدْعُوَ بِدُعَاءٍ دَعَا بِهَا فِيهِ ”

আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ সময় এই দু’আ করতেন : “হে আল্লাহ! আমাকে দুনিয়াতে কল্যাণ ও আখিরাতে কল্যাণ দান কর এবং জাহান্নামের আযাব থেকে আমাকে বাঁচাও” ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। ইমাম মুসলিমের বর্ণনাতে আরো আছে : হযরত আনাস (রা.) যখন কোন দু’আ করতে চাইতেন তখন এই দু’আটিই করতেন এবং যখন অন্য কোন দু’আ করতে চাইতেন তখন এ দু’আটিও তার মধ্যে শামিল করতেন।

 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُوْلُ:  اللَّهُمَّ اَصْلِحْ لِىْ دِيْنِ الَّذِىْ هُوَ عَصِمَةُ أمري، اَصْلِحْ لِىْ دُنْيَايَ الَّتِيْ فِيْهَا مَعَاشْيْ، اَصْلِحْ لِىْ آخِرَتِيْ الَّتْيْ فِيْهَا مَعَادِيْ، وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لِيْ فِيْ كُلِّ خَيْرٍ، وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِيْ مِنْ كُلَّ شَرٍّ – رَوَاهُ مُسْلِمٌ ”

আবু হুরাইরা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুআ করতেন : “হে আল্লাহ! আমার দীনকে আমার জন্য সংশোধন করে দাও, যা আমার কাজের সংরক্ষক, আমার দুনিয়াকে আমার জন্য সংশোধন করে দাও, যার মধ্যে রয়েছে আমার জীবন-জীবিকা, আমার আখিরাতকে আমার জন্য সুশোভন করে দাও যেখানে আমাকে ফিরে যেতে হবে। প্রত্যেক নেক কাজে আমার হায়াত বাড়িয়ে দাও এবং প্রত্যেক খারাপ কাজ থেকে মৃত্যুকে আমার জন্য আরামের কারণে পরিণত কর।”

ধৈর্যধারণের দোয়া:

রব্বানা আফ্‌রিগ্‌ আলাইনা সব্‌রাওওয়া সাব্বিত আক্বদামানা ওয়ান্‌সুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন।

(সূরা আল বাকারা ঃ ২৫০)

“হে আমাদের প্রভু, আমাদেরকে ধৈর্যধারণের ক্ষমতা দাও। আমাদের কদমকে সুদৃঢ় কর এবং কাফেরদের উপর বিজয় দান কর।”   -(সূরা আল বাকারা ঃ ২৫০)

 

কাফেরদের উপর বিজয় দান করার দোয়া:

 

রব্বানা লা তুয়াখিয্‌না ইন্নাসিনা আও আখ্‌তনা রব্বানা ওয়ালা তাহ্‌মিল আলাইনা ইস্‌রান কামা হামাল্‌তাহূ আলাল্লাযিনা মিং ক্বাব্‌লিনা রব্বানা ওয়ালা তুহাম্‌মিল্‌না মা লা ত্বক্বাতা লানা বিহি, ওয়া’ফু আন্না, ওয়াগ্‌ফিরলানা ওয়ার্‌হাম্‌না আন্‌তা মাওলানা ফাংসুরনা আলাল ক্বাওমিল কাফিরিন। -(সূরা আল বাকারা ঃ ২৮৬)

 

‘‘হে আমাদের রব, আমরা যদি ভুল করে থাকি বা ছোটখাট ত্রুটি করে থাকি তাহলে তুমি সেগুলোর ব্যাপারে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। আমাদের উপর সেই রূপ কঠিন বোঝা (পরীক্ষা বা আযাব) চাপিয়ো না যেরূপ বোঝা চাপিয়েছ আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর। আর তেমন বোঝাও চাপিও না যেমনটি বহনের শক্তি আমাদের নেই। তুমি আমাদের ত্রুটি-বিচ্যুতি মার্জনা কর। অপরাধ ক্ষমা কর। আমাদের উপর রহম কর। তুমি আমাদের প্রভু। অতএব আমাদেরকে কাফেরদের উপর বিজয় দান কার।” -(সূরা আল বাকারা ঃ ২৮৬)

 

গোনাহ মাফের দোয়া:

রব্বানাগ্‌ফিরলানা যুনুবানা ওয়া ইসরাফানা ফি আম্‌রিনা ওয়াসাব্বিত রব্বানা আক্‌দামানা ওয়ান্‌সুর্‌না আলাল্‌ ক্বাওমিল কাফিরিন। (সূরা আলে ইমরান ঃ ১৪৭)

“হে আমাদের রব আমাদের গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের কাজে কোন বাড়াবাড়ী হয়ে থাকলে তাও ক্ষমা কর। আমাদের কদমকে মজবুত কর। আর কাফেরদের উপর বিজয় দান কর।” (সূরা আলে ইমরান ঃ ১৪৭)

রব্বানা মা খালাক্বতা হাযা বাতিলান, সুব্‌হানাকা ফাক্বিনা আযাবান্নার, রব্বানা ইন্নাকা মান্‌ তুদখিলিন্নার, ফাক্বাদ আখ্‌যাইতাহু। ওয়ামা লিয়্‌যালিমিনা মিন আংসার রব্বানা ইন্নানা সামি’না মুনাদিয়াইয়ুনাদি লিল্‌ইমানি আন্‌ আমিনু বিরাব্বিকুম ফাআমান্না, রব্বানা ফাগ্‌ফিরলানা যুনুবানা ওয়াকাফ্‌ফির আন্না সাইয়ি আতিনা ওয়াতাওয়অফ্‌ফানা মায়্যল আব্‌রার, রব্বানা ওয়া আতিনা মা ওয়াদ্‌তানা আলা রসুলিকা ওয়ালা তুখযিনা ইয়াওমাল ক্বিয়ামাহ ইন্নাকা লা তুখ্‌লিফুল মি আদ।

(সূরা আলে ইমরান ঃ১৯১-১৯৪)

“হে আমাদের রব, তুমি এ সৃষ্টিজগতের কোন কিছুই অর্থহীনভাবে সৃষ্টি করনি। তুমি পুতঃপবিত্র। অতএব আমাদের দোযখের আগুন থেকে নাজাত দাও। হে প্রভু, তুমি যাদেরকে দোযখের আগুন থেকে নাজাত দাও। হে প্রভু, তুমি যাদেরকে দোযখে ঢুকাবে তাকে অবশ্য অবশ্যই লাঞ্ছিত করে ছাড়বে। আর কোন জালেমের জন্য সেদিন কোন সাহায্যকারী থাকবে না। হে প্রভু, আমরা একজন আহ্বানকারীকে এই মর্মে আহ্বান করতে শুনেছি, ‘ তোমাদের রবের পথে ঈমান আন।’ অতপর আমরা ঈমান এনেছি। অতএব, হে আমাদের রব, তুমি আমাদের গোনাহ মাফ কর। ত্রুটি-বিচ্যুতি মার্জনা কর। আর আমাদেরকে তোমার নেক বান্দাদের সাথে থাকার তৌফিক দিও। হে প্রভু, তুমি তোমার রাসূলের মাধ্যমে আমাদেরকে যা কিছু দেবার ওয়াদা করেছ তা দাও। কিয়ামতের সেই দিনে আমাদের লাঞ্ছিত কর না। তুমি তো কখনই ওয়াদা খেলাপ কর না।”

(সূরা আলে ইমরান ঃ ১৯১-১৯৪)

রব্বানা যলাম্‌না আংফুসানা ওয়াইল্লাম তাগ্‌ফিরলানা ওয়াতার্‌হাম্‌না লানাকুনান্না মিনাল খসিরিন। (সূরা আল আরাফ ঃ ২৩)

“হে আমাদের রব! আমরা তো আমাদের নফসের উপর জুলুম করেছি। তুমি যদি ক্ষমা না কর, রহমত না কর, তাহলে তো আমরা অবশ্য অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব।” (সূরা আল আরাফ ঃ ২৩)

রব্বানাগ্‌ফির্‌ লানা ওয়ালিইখ্‌ওয়ানিনা আল্লাযিনা সাবাক্বুনা বিল্‌ঈমানি ওয়ালা তাজ্‌আল ফি কুলুবিনা গিল্লাললিল্লাযিনা আমানু রব্বানা ইন্নাকা রউফুর রাহীম। (সূরা আল হাশরঃ ১০)

“হে আমাদের পরোয়ারদেগার, আমাদেরকে ক্ষমা কর আর আমাদের ঐ সকল ভাইদেরকে ক্ষমা কর যারা ঈমানের ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে অগ্রগামী। আমাদের মনে কোন ঈমানদারের জন্যে কোন প্রকারের সংকীর্ণতা ও ঈর্ষাপরায়ণতার ভাব সৃষ্টি হতে দিও না। তুমি তো অতীব দয়ালু এবং মেহেরবান।” (সূরা আল হাশর ঃ ১০)

 

রব্ব্‌িজ আল্‌নি মুক্বিমাস্‌ সলাতি ওয়া মিন যুররিয়্যাতি রব্বানা ওয়াতাক্বাবাল দুআ। (সূরা ইবরাহীম ঃ৪০)

“হে আমার মুনীব ! আমাকে, আমার সন্তানদেরকে সালাত কায়েমকারী বানাও। হে পরোয়ারদেগার আমার দোয়া কবুল কর।” (সূরা ইবরাহীম ঃ ৪০)

 

রব্বানাগ্‌ফিরলি ওয়ালি ওয়ালি দাইয়া ওয়ালিল্‌ মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিসাব্‌ -(সূরা ইব্‌রাহীম ঃ ৪১)

“হে আমাদের পরোয়ারদেগার, আমাকে, আমার মা-বাপকে ও সমস্ত মুসলিমদেরকে সেই দিনে রক্ষা কর, যেদিন আমাদের সবার হিসেব হবে।”  (সূরা ইবরাহীম ঃ ৪১)

বাবা-মার জন্য দোয়া:

রব্বির্‌ হামহুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা। (বনি ইসরাঈল ২৪)

“হে পরোয়ারদেগার, আমাদের মা-বাপের প্রতি তেমনি দয়া কর, যেমন দয়া মায়া সহ তারা আমাদেরকে ছোটবেলায় লালন-পালন করেছেন।”  (বনি ইসরাঈল ঃ ২৪)

 

রব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা ক্বুররাতা আ’য়ুনিন, ওয়াজ্‌আলনা লিল্‌মুত্তাক্বিনা ইমামা।

(সূরা আল ফুরকান ঃ৭৪)

“হে আমাদের রব, আমাদেরকে এমন জীবন সাথী এবং সন্তান দাও যাতে আমাদের চক্ষু শীতল হয়। আর আমাদের সবাইকে মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য আদর্শ রূপে গড়ে উঠার তৌফিক দাও।” -(সূরা আল ফুরকান ঃ ৭৪)

 

পায়খানা থেকে বের হওয়ার দোয়া:

غُفْرَانَكَ».

বাংলা উচ্চারণ : গুফরা-নাকা

বাংলা অর্থ : “আমি আপনার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” [আবূ দাউদ, নং ৩০; তিরমিযী, নং ৭; ইবন মাজাহ্‌, নং ৩০০।

 

পায়খানায় প্রবেশ করার দোয়া:

বাংলা উচ্চারণ : [বিসমিল্লাহি] আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযু বিকা মিনাল খুব্‌সি ওয়াল খাবা-ইসি।

বাংলা অর্থ : “[আল্লাহ্‌র নামে।] হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট অপবিত্র নর জিন্ ও নারী জিন্ থেকে আশ্রয় চাই”। [বুখারী ১/৪৫, নং ১৪২; মুসলিম ১/২৮৩, নং ৩৭৫।

×

Comments are closed.