শিক্ষিকা গাইডলাইনঃ দাখিল

সুপ্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,

আস্‌সালামু আলাইকুম। আশা করি সুস্থ থেকে সুন্দরভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছ। তোমাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শেষ মুহুর্তের দরকারী কিছু পরামর্শ রইল –

  • শরীরের প্রতি অত্যন্ত যত্ন নেবে এবং সম্পূর্ণরুপে টেনশন ফ্রি থাকার চেষ্টা করবে।
  • নিজের প্রতি আত্নবিশ্বাস রেখে পড়ালেখা চালিয়ে যাবে ও সব বিষয়ে আল্লাহর উপর ভরসা রাখবে।
  • পড়ালেখার ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখবে। ভারসাম্য রক্ষা না করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
  • কুরআন হাদীসের উত্তর লেখার সময় টিকার ক্ষেত্রে কুরআন-হাদিস থেকে উদ্ধৃতি দিবে এবং তাহকীকগুলো অবশ্যই সঠিকভাবে ও পূর্ণরুপে লিখবে।
  • আরবী ১ম পত্রের নসগুলি অত্যন্ত সতর্কতার সাথে লিখবে। তাহলে ৮০% নাম্বার পেতে সহজ হবে।
  • আরবী ২য় পত্রের তরজমা, বাক্যশুদ্ধি সঠিকভাবে লিখবে। বালাগাত / মানতিক বিষয়ে ১০টি প্রশ্নের উত্তর অবশ্যই দিবে। নতুবা A+ বাধাগ্রস্ত হবে।
  • ফিকহের ক্ষেত্রে ইমামদের মতামত দলীলসহ উপস্থাপন করবে। হুকুমগুলি স্পষ্ট করে তুলে ধরবে।ফারায়েজ বিষয়ের বণ্টনসংক্রান্ত প্রশ্নটির উত্তর সতর্কতার সাথে দিবে। তাহলে A+ সহজেই পাওয়া যাবে।
  • বাংলা Text/contest প্রতিটি লাইন খুব ভালভাবে পড়বে। উদ্দীপকগুলি পাঠ্যবইয়ের সাথে মিলিয়ে উত্তর লিখবে।
  • ইংরেজী Vocabulary – র Synonyms খুব ভালভাবে পড়বে ও সতর্কতার সাথে উত্তর লিখবে।
  • বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ, পদার্থ/রসায়ন, গণিত ইত্যাদি বিষয়গুলির জটিল তথ্যগুলো বারবার লিখে লিখে অনুশীলন করবে।
  • অতিরিক্ত বিষয়গুলি A+ পেতে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করে বিধায় এর প্রতিও সমান গুরুত্ব দিবে।

উপরোক্ত বিষয়গুলির পাশাপাশি অবসর সময়ে আল্লাহর রাস্তায় কিছুটা সময় ব্যয় করার আকাঙ্খা প্রবলভাবে হৃদয়ে জাগ্রত রাখতে হবে। আমরা অনেক শিক্ষার্থীকে পরীক্ষা চলাকালীনও সিনেমা,নাটক দেখে সময় নষ্ট করতে দেখি। সুতরাং সচেতন প্রতিটি মুসলিম শিক্ষার্থী যদি বিভিন্ন ধরনের সৎকাজ, তালীমুল কুরআন প্রশিক্ষণদানের পিছনে পরীক্ষার কয়েকদিন পূর্ব পর্যন্ত ব্যয় করে, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ পাক তাকে চূড়ান্ত ফলাফল পাওয়ার দিন সন্তুষ্ট করে দিবেন আশা করা যায়। এ ওয়াদা আল্লাহ পাক নিজেই দিয়েছেন (সূরা বুরুজ-১১)। সুতরাং এ দিকটার প্রতিও অত্যন্ত গুরুত্ব  দিবে। কারণ বরকত দেয়ার মালিক মূলত: আল্লাহ তায়ালা। তিনি এত বর্ধিত আকারে আমাদের পুরষ্কার দিবেন যে আমরা হতবাক, বিস্মিত ও আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে যাব।

পরিশেষে তোমাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি। তোমাদের প্রতিটি পরীক্ষা অত্যন্ত সুন্দরভাবে সমাপ্ত হোক। এ কামনায় আল্লাহ হাফেজ।

 

কাজী আসমা আক্তার

প্রধান শিক্ষিকা, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা

মহিলা শাখা (মাতুয়াইল শাখা)

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *