আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির দোয়া :
فَاطِرَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ أَنْتَ وَلِيِّيْ فِيْ الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ تَوَفَّنِيْ مُسْلِمًا وَأَلْحِقْنِيْ بِالصَّالِحِيْنَ.
“হে আসমান ও যমিনের স্রষ্টা, দুনিয়া ও আখিরাতে তুমিই আমার অভিভাবক ও মুরুব্বি। মুসলিম অবস্থায় আমাকে মৃত্যু দাও এবং আমাকে নেক লোকদের মধ্যে শামিল কর।” (সূরা ইউসুফ-১০১)
رَبَّنَآ آتِنَا مِن لَّدُنكَ رَحْمَةً وَهَيِّئْ لَنَا مِنْ أَمْرِنَا رَشَداً
“হে আমাদের রব! আমাদেরকে তোমার খাস রহমত দ্বারা ধন্য কর এবং আমাদের সকল বিষয় ভালোভাবে ঠিক করে দাও।” (সূরা কাহাফ-১০)
আল্লাহর পছন্দনীয় পথে চলার দোয়া:
اَللَّهُمَّ وَفِّقْنَا لِمَا تُحِبُّ وَتَرْضَى مِنَ الْقَوْلِ وَالْفِعْلِ وَالْعَمَلِ وَالنِّيَّةِ وَالْهُدَى, إِنَّكَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
“হে আল্লাহ! আমাদেরকে কথা বলায়, দুনিয়ার কাজে ও দ্বীনি আমলে, নিয়ত করায় ও হেদায়াত পালনে এমনভাবে চলার তাওফীক দাও যাতে তুমি পছন্দ কর ও খুশি হও। নিশ্চয় তুমি সর্বশক্তিমান।” ( আল হাদীস)
وَقُل رَّبِّ أَدْخِلْنِى مُدْخَلَ صِدْقٍ وَأَخْرِجْنِى مُخْرَجَ صِدْقٍ وَٱجْعَل لِّى مِن لَّدُنْكَ سُلْطَاناً نَّصِيراً
“হে আমার পরওয়ারদিগার! আমাকে যেখানেই তুমি নিয়ে যাও সত্যতার সাথে নিয়ে যাও এবং যেখান থেকেই বের করো সত্যতার সাথে বের করো। এবং তোমার পক্ষ থেকে একটি কর্তৃত্বশীল পরাক্রান্ত শক্তিকে আমার সাহায্যকারী বানিয়ে দাও।” (বনী ইসরাঈল-৮০ )
জ্ঞান বৃদ্ধির দোয়া :
رَبِّ اشْرَحْ لِي صَدْرِي وَيَسِّرْ لِي أَمْرِي وَاحْلُلْ عُقْدَةً مِنْ لِسَانِي يَفْقَهُوا قَوْلِي
“হে প্রভু। আমার অন্তরকে প্রশস্ত করে দাও, আমার কাজকে আমার জন্য সহজ করে দাও এবং আমাদের মুখের জড়তা দূর করে দাও।” (সূরা ত্বাহা-২৫-২৮)
ঈমানদারদের সার্বক্ষনিক দোয়া:
الَّذِينَ يَذْكُرُونَ اللَّهَ قِيَامًا وَقُعُودًا وَعَلَى جُنُوبِهِمْ وَيَتَفَكَّرُونَ فِي خَلْقِ السَّمَوَاتِ وَالْأَرْضِ رَبَّنَا مَا خَلَقْتَ هَذَا بَاطِلًا سُبْحَانَكَ فَقِنَا عَذَابَ النَّارِ- رَبَّنَا إِنَّكَ مَنْ تُدْخِلِ النَّارَ فَقَدْ أَخْزَيْتَهُ وَمَا لِلظَّالِمِينَ مِنْ أَنْصَارٍ- رَبَّنَا إِنَّنَا سَمِعْنَا مُنَادِيًا يُنَادِي لِلْإِيمَانِ أَنْ آَمِنُوا بِرَبِّكُمْ فَآَمَنَّا رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ- رَبَّنَا وَآَتِنَا مَا وَعَدْتَنَا عَلَى رُسُلِكَ وَلَا تُخْزِنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ إِنَّكَ لَا تُخْلِفُ الْمِيعَادَ .
“ হে প্রভু! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের রক্ষা করো। তুমি যাকে জাহান্নামে ফেলে দিয়েছো, তাকে আসলে বড়ই লাঞ্চনা ও অপমানের মধ্যে ঠেলে দিয়েছো এবং এহেন জালেমদের কোন সাহায্যকারী হবে না। হে আমাদের মালিক! আমরা একজন আহ্বানকারীর আহ্বান শুনেছিলাম। তিনি ঈমানের দিকে আহ্বান করছিলেন। তিনি বলছিলেন, তোমরা নিজেদের রবকে মেনে নাও। আমরা তার আহ্বান গ্রহণ করেছি। কাজেই হে আমাদের প্রভু! আমরা যেসব গোনাহ করছি তা মাফ করে দাও। আমাদের মধ্যে যেসব অসৎবৃত্তি আছে সেগুলো আমাদের থেকে দূর করে দাও এবং নেক লোকদের সাথে আমাদের শেষ পরিণতি দান করো। হে আমাদের রব! তোমার রাসূলদের মাধ্যমে তুমি যেসব ওয়াদা করেছো আমাদের সাথে, সেগুলো পূর্ণ করো এবং কিয়ামতের দিন আমাদের লাঞ্চনার গর্তে ফেলে দিয়ো না। নি:সন্দেহে তুমি ওয়াদা খেলাফকারী bI|” (সূরা আল ইমরান: ১৯১-১৯৪)
পরিবার পরিজনের জন্য দোয়া :
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنْ وَجَعَلْنَا لِلْمُتَّقِيْنَ إِمَامَا
“হে আমাদের প্রতিপালক। আমাদের জন্য এমন জীবনসঙ্গী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা আমাদের জন্য চক্ষুশীতলকারী এবং আমাদের মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন।” (সূরা ফুরকান-৭৪)
যানবাহনে চড়ার দোয়া :
سُبْحَانَ الَّذِيْ سَخَّرَ لَنَا هَذَا وَمَا كُنَّا لَهُ مُقْرِنِيْنَ وَإِنَّا إِلَى رَبِّنَا لَمُنْقَلِبُوْنَ
“পবিত্র সেই সত্ত্বা যিনি এটাকে অনুগত করে দিয়েছেন, অথচ আমাদের জন্য এটাকে অনুগত বানানো দুস্কর ছিল। আর নিশ্চয়ই আমরা সকলেই মহান প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী।” (সূরা যুখরাফ-১৩, ১৪)
নেক লোকদের জন্য দোয়া :
رَبَّنَا اغْفِرْ لَنَا وَلِإِخْوَانِنَا الَّذِيْنَ سَبَقُوْنَا بِالْإِيْمَانِ وَلَا تَجْعَلْ فِيْ قَلُوْبِنَا غِلًّا لِلَّذِيْنَ آمَنُوْا رَبَّنَا إِنَّكَ رَوُؤْفٌ رَّحِيْمٌ.
“হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ও আমাদের সেই সব ভাইদের ক্ষমা কর, যারা আমাদের পূর্বে ঈমান এনেছে। আর আমাদের অন্তরে ঈমানদার লোকদের জন্য হিংসা ও শত্রুতার ভাব রেখ না। হে আমাদের প্রভু! তুমি বড়ই অনুগ্রহ সম্পন্ন করুণাময়।” (সূরা হাশর : ১০)
সবরের দোয়া :
رَبَّنَآ أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْراً وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
“হে আমাদের রব! আমাদের সবর দান করো এবং তোমার অনুগত থাকা অবস্থায় আমাদের দুনিয়া থেকে উঠিয়ে নাও।” (সূরা আরাফ:১২৬)
শয়তান থেকে আশ্রয়ের দোয়া:
.وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَن يَحْضُرُونِ .وَقُلْ رَّبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ ٱلشَّياطِينِ
“হে আমার রব! আমি শয়তানের উস্কানি থেকে তোমার আশ্রয় চাই। এমনকি হে পরওয়ারদিগার! সে আমার কাছে আসুক এ থেকেও আমি তোমার আশ্রয় চাই।” (সূরা মুমিনুন:৯৭-৯৮)
সফরের দোয়া:
اَللَّهُمَّ إِنَّا نَسْأَلُكَ فِيْ سَفَرِنَا هَذَا الْبِرَّ وَالتَّقْوَى, وَمِنَ الْعَمَلِ مَا تَرْضَى , اَللَّهُمَّ هَوِّنْ عَلَيْنَا سَفَرَنَا هَذَا وَاطْوِ عَنَّا بُعْدَهُ , اَللَّهُمَّ أَنْتَ الصَّاحِبُ فِيْ السَّفَرِ, وَالْخَلِيْفَةُ فِيْ الْأَهْلِ, اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُبِكَ مِنْ وَعْشَاءِ السَّفَرِ, وَكَابَةِ الْمَنْظَرِ, وَسُوْءِ الْمُنْقَلَبِ فِيْ الْمَالِ وَالْأَهْلِ.
“হে আল্লাহ! আমরা এই সফরে তোমার নিকট প্রার্থনা করছি পূণ্য ও তাকওয়ার। আমরা এমন আমল করার তাওফিক চাই যাতে তুমি খুশি হও। হে আল্লাহ! আমাদের এ সফরকে সহজ করে দাও। এর দূরত্ব আমাদের জন্য কমিয়ে দাও। হে আল্লাহ! তুমিই এ সফরে আমাদের সাথী। আর পরিবার পরিজনের তুমি রক্ষণাবেক্ষণকারী। হে আল্লাহ! আমরা আশ্রয় প্রার্থনা করছি সফরের কষ্ট হতে, খারাপ দৃশ্য দর্শন হতে এবং ফেরার পর সম্পদ ও পরিজনের ক্ষয়ক্ষতির দর্শন হতে। ”
সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার : ক্ষমা প্রার্থনার দোয়া
عَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ سَيِّدُ الاِسْتِغْفَارِ أَنْ يَّقُوْلَ الْعَبْدُ : اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّيْ لَا إِلَهَ إلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِيْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ شَرِّ صَنَعْتُ أَبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ وَأَبُوْءُ لَكَ بِذَنْبِيْ فَاغْفِرْلِيْ فإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ . قَال: وَمَنْ قَالَهَا مِنَ النَّهَارش مُوْقِنًا بِهَا, فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُّمْسِيَ , فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ, وَمَنْ قَالَهَا مِنَ اللَّيْلِ وَهُوَ مُوْقِنٌ بِهَا, فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُّصْبِحَ, فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ (رواه البخاري)
“হে আল্লাহ! তুমিই আমার রব, তুমি ভিন্ন আর কোন ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ এবং আমি তোমার গোলাম। আমি যথাসাধ্য তোমার দেয়া ওয়াদা-প্রতিশ্রুতি পালনে দৃঢ় থাকব। আমি আমার কৃতকর্মের মন্দ পরিণাম হতে তোমার নিকট আশ্রয় চাই। আমার প্রতি তোমার নিয়ামতসমূহকে ¯^xKvi করি। আমি আরও ¯^xKvi করি আমার গুনাহসমূহের কথা। কাজেই তুমি আমার গুনাহগুলিকে মাফ কর। কেননা তুমি ছাড়া গুনাহ মাফ করার কেউ নেই।”
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: তোমাদের কেউ এ কথাগুলো সন্ধ্যাবেলায় বললে, অতঃপর ভোর হবার আগে তার মৃত্যু হলে তার জন্য জান্নাত অবধারিত হয়ে যায়। অনুরূপভাবে তোমাদের কেউ তা ভোর বেলায় বললে, অতঃপর সন্ধ্যার আগেই তার মৃত্যু হলে তার জন্য ও বেহেশত অবধারিত হয়ে যায়।” (সহীহ বুখারী, তিরমিযী ও নাসাঈ)
কুনুতে নাযেলা ঃ
বিপদ থেকে উদ্ধার এবং শক্রদের ধ্বংসকারীতা থেকে রক্ষা ও বাতিল শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য রাসূল (সঃ) এবং সাহাবাগণ এই দোয়া পড়তেন। বর্তমানে বাতিল শক্তি দেশীয় ষড়যন্ত্র্ত্র এবং আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের বেড়াকলে ইসলামকে ধ্বংস এবং ইসলামের নূর নিভিয়ে দেয়ার জন্যে অমানুষিক যুলুম নির্যাতন করছে। নৈরাশ্যজনক এই অবস্থা থেকে বাচার জন্যে আমরা নিজেরা কুনুতে নাযেলা পড়ব এবং পরিবারের সবাইকে পড়তে উদ্বুদ্ধ করব ইনশাল্লাহ।
কুনুতে নাযেলা বলতে সেই দোয়া বুঝায় যা নবী পাক (সাঃ) দুশমনদের ধ্বংসকারীতা থেকে রক্ষার জন্যে তাদের শক্তি চূর্ণ করে তাদেরকে ধ্বংস করার জন্যেপড়েন।১ তাঁর পরে সাহাবায়ে কেরাম (রা) তা পড়ার ব্যবস্থা করেছেন।২
আহলে ইসলাম যদি কোন সময়ে কঠিন অবস্থার সম্মুখীন হয়, দিন-রাতব্যাপী দুশমনের পক্ষ থেকে আসন্ন বিপদে এবং তাদের ভয় ও সন্ত্রাসে তাদের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে, যদি চারদিকে দুশমনের শক্তিমত্তা দেখা যায় তারা যদি মিল্লাতে ইসলামিয়াকে ধ্বংস করার জন্যে এবং ইসলামের নূর নিভিয়ে দেয়ার জন্যে আহলে ইসলামের উপর অমানুষিক যুলুম করতে থাকে, এমন নৈরাশ্যজনক অবস্থা থেকে বাঁচার জন্যে দুশমনের শক্তি চূর্ণ করতে, তাদেরকে ধ্বংস করতে আল্লাহর কাছে দরখাস্ত করার জন্যে কুনুতে নাযেলা পড়া মাসনূন।
কুনুতে নাযেলার মাসয়ালা
১. উচ্চশব্দে পড়া সকল নামাযে কুনুতে নাযেলা পড়া জায়েয।৩ বিশেষ করে ফজরের নামাযে পড়ার ব্যবস্থা করা উচিত।
২. যদি মুক্তাদীদের দোয়া কুনুতে নাযেলা মনে থাকে, তাহলে ইমামও আস্তে আস্তে পড়বে এবং সকল মুক্তাদীও আস্তে আস্তে পড়বে। কিন্তু আজকাল যেহেতু সাধারণত মুক্তাদীদের দোয়া মনে থাকে না সে জন্যে উত্তম এই যে, ইমাম উচ্চশব্দে* থেমে থেমে পড়বে এবং মুক্তাদীগণ আমীন, আমীন বলতে থাকবে।
৩. শেষ রাকয়াতে রুকু থেকে উঠার পর ইমাম এবং মুক্তাদী সকলে হাত বাঁধবে** ইমাম কুনুত পড়বে এবং মুক্তাদী আস্তে আস্তে আমীন বলবে। ইমাম আবু হানীফা এবং ইমাম আবু ইউসুফের নিকট হাত বেঁধে কুনুতে নাযেলা পড়া মাসনূন।
৪. একাকী নামায পাঠকারীও কুনুত পড়তে পারে। নারীগণও তাদের নামাযে পড়তে পারে।
১. হযরত আবু হুরায়রাহ (রা) বলেন, নবী (সঃ) মুসলমান কয়েদীদের উদ্ধার এবং কাফেরদের ধ্বংসের জন্যে অনবরত একমাস পর্যন্ত এশার নামাযে এ কুনুত পড়তেন। আবু হুরায়রাহ (রা) বলেন, একদিন নবী (সঃ) এ দোয়া পড়লেন না। তখন আমি নবী (সঃ) কে না পড়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, তুমি কি দেখছ না যে, মুসলমান কয়েদীরা খালাস হয়ে এসেছে? (আবু দাউদ)
২. হযরত আব বকর (রা) সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি মুসায়লামা কায্যাবের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় এ কুনুতে নাযেলা পড়েন। এমনি হযরত ওমর (রা), হযরত আলী (রা) এবং আমীর মুয়াবিয়া (রা) যুদ্ধের সময় কুনুতে নাযেলা পড়েন (গনিয়াতুল মস্তামলী)।
৩. আল্লামা তাহাবী শুধু ফজর নামাযে কুনুতে নাযেলা পড়ার উল্লেখ করেছেন। শামী কেতাবের লেখক এ উক্তিকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।
আয়নী, শরহে হেদায়া উচ্চশব্দে পড়া সকল নামাযে পড়ার বিশ্লেষণ করেছেন। আয়নী শরহে হেদায়ার শব্দগুলো হচ্ছে
কুনুতে নাজেলার দোয়া :
اَللَّهُمَّ اهْدِنَا فٍيْمَنْ هَدَيْتَ وَعَافِنَا فِيْمَنْ عَافَيْتَ وَتَوَلَّنَا فِيْمَنْ تَوَلَّيْتَ وَبَارِكْ لَنَا فِيْمَا أَعْطَيْتَ وَقِنَا شَرَّ مَا قَضَيْتَ – إِنَّكَ تَقْضِيْ وَلاَ يُقَضَى عَلَيْكَ إِنَّهُ لاَ يََذِلُّ مَنْ وَالَيْتَ وَلاَ يَعِزُّ مَنْ عَادَيْتَ تَبَارَكْتَ رَبَّنَا وَتَعَالَيْتَ نَسْتَغْفِرُكَ وَنَتُوْبُ إِلَيْكَ وَ صَلَّى اللهُ عَلَى النَّبِيِّ الْكَرِيْمِ.
اَللَّهُمَّ اغْفِرْ لَنَا وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُؤْمِنَاتِ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَالْمُسْلِمَاتِ وَأَلِّفْ بَيْنَ قُلُوْبِهِمْ وَأَصْلِحْ ذَاتَ بَيْنِهِمْ وَانْصُرْنَا عَلَى عَدُوِّكَ وَعَدُوِّهِمْ- اَللَّهُمَّ الْعَنِ الْكَفَرَةَ الَّذِيْنَ يَصُدُّوْنَ عَنْ سَبِيْلِكَ وَيُكَذِّبُوْنَ رُسُلَكَ وَيُقَاتِلُوْنَ أَوْلِيَائَكَ , اَللَّهُمَّ خَالِفْ بَيْنَ كَلِمَتِهِمْ وَزَلْزِلْ أَقْدَامَهُمْ وَأَنْزِلْ بِهِمْ بَأْسَكَ الَّذِيْ لاَ تَرُدُّهُ عَنِ الْقَوْمِ الْمُجْرِمِيْنَ.
(আল্লাহুম্মা ইহ্দিনা ফী মান হাদাইতা ওয়া আ’ফিনা ফী মান্ আ’ফাইতা ওয়া তাওয়াল্লানা ফীমান্ তাওয়াল্লাইতা ওয়া বারিক লানা ফীমা আ’তাইতা ওয়াক্বিনা শার্রা মা ক্বদাইতা, ইন্নাকা তাক্বদি ওয়ালা য়ুক্বদা আলাইকা ইন্নাহু লা ইয়াযিল্লু মাও্ওয়ালাইতা ওয়ালা ইয়ায়িয্যু মান আ’দাইতা তাবারাক্তা রব্বানা ওয়া তাআ’লাইতা নাসতাগফিরুকা ওয়া নাতুবু ইলাইকা ওয়াসল্লাল্লাহু আলান্নাবিয়্যিল কারিম।
আল্লাহুম্মাগ্ ফিরলানা ওয়ালিলমু’মুনিনা ওয়াল মু’মিনাতি ওয়ালসুনলিমিনা ওয়াল মুসলিমাতি ওয়া আল্লিফ বাইনা কুলুবিহিম ওয়া আসলিহ্ যাতা বাইনিহিম ওয়ান্সুরনা আ’লা আ’দুয়্যিকা ওয়া আ’দুয়্যিহিম।
আল্লাহুম্মাল আ’নিল কাফারাতাল্লাযিনা ইয়াসুদ্দুনা আন্ সাবিলিকা ওয়া ইকায্যিবুনা রুসুুলাকা ওয়া ইক্বাতিলুনা আওলিয়াকা আল্লাহুম্মা খালিফ্ বাইনা কালিমাতিহিম ওয়া যাল্যিল্ আক্বদামাহুম ওয়া আন্যিল বিহিম বাসাকাল্লাযি লা তারুদ্দুহু আনিল ক্বাওমিল মুজ্রিমিন।)
“হে আল্লাহ্ তুমি আমাদেরকে হেদায়েত দান করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদেরকে তুমি হেদায়েত দান করেছ। তুমি আমাদের সচ্ছলতা দান করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদেরকে তুমি সচ্ছলতা দান করেছ। আমাদের অভিভাবকত্ব করে তাদের মধ্যে শামিল কর যাদের তুমি অভিভাবক হয়েছ। আমাদেরকে তুমি সেই অনিষ্ট থেকে রক্ষা কর যার ফায়সালা তুমি করেছ-কারণ ফায়সালা তুমিই করে থাক এবং তোমার উপর কারো ফায়সালা কার্যকর হয় না। তুমি যাকে দুশমন বলে আখ্যায়িত কর সে কখনো সম্মান পেতে পারে না। তুমি বড়ো বরকতওয়ালা। হে আমাদের রব, সুউচ্চ ও সুমহান, আমরা তোমার কাছে মাগফেরাত চাচ্ছি তোমার কাছে তওবা করছি। আল্লাহ্র রহমত হোক নবী (সঃ) উপর।
“হে আল্লাহ্ আমাদেরকে মাফ কর। মুমিন নারী-পুরুষ এবং মুসলিম নারী-পুরুষকে মাফ কর, তাদের অন্তরকে পরস্পর মিলিত করে দাও, তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক সুদৃঢ় করে দাও, তোমার এবং তাদের দুশমনের মুকাবিলায় আমাদের মদদ কর। আয় আল্লাহ! তুমি ঐ সব কাফেরদের উপর লানত কর যারা মানুষকে তোমার পথ থেকে বিভ্রান্ত করে সরিয়ে দেয়, যারা তোমার রসূলগণকে মিথ্যা মনে করে, যারা তোমার প্রিয় লোকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। আয় আল্লাহ্ তুমি তাদের মধ্যে পারস্পরিক মতানৈক্য সৃষ্টি করে দাও, তাদেরকে ভীত প্রকম্পিত করে দাও এবং তাদের উপর তোমার এমন আযাব নাযিল কর যা তুমি তোমার পাপীদের জন্যে রহিত কর না।” (বুখারী)
Comments are closed.